সৌদি আরব যেতে চাইলে সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো জেনে রাখা উচিত। সৌদি আরব হজ্জ করতে যাওয়ার পাশাপাশি অনেকেই কাজ করে টাকা ইনকাম করতে যান। আপনিও যদি সৌদি আরব যেতে চান, তবে সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি এবং সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার এসব বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিটে সৌদি আরব কাজ করতে যেতে চান, তবে সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো জেনে রাখতে হবে। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো
সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো

সৌদি আরব কাজ করার জন্য যেতে চাইলে আমেল আইদি বা ফ্রি ভিসা সবথেকে সেরা। এই ভিসায় সৌদি আরব আসলে যেকোনো কাজ করে অনেক বেশি বেতন পাওয়া যায়। এছাড়াও, কোম্পানি ভিসায় সৌদি আরব আসলেও বেতন বেশি পাওয়া যায়। বেতন নির্ভর করে কাজের উপর দক্ষতা বিবেচনায়।

আপনি যদি দক্ষতা অর্জন করে সৌদি আরব আসেন, তবে যেকোনো কাজ করেই বেশি বেতন নিতে পারবেন। তবে, বেতনের পাশাপাশি অনেক ভিসায় আলাদা সুবিধা পাওয়া যায়। আপনি যদি আমেল আইদি বা ফ্রি ভিসা কিংবা কোম্পানি ভিসায় সৌদি আরব যান, তবে বেশি বেতন এবং আরও অনেক সুবিধা পাবেন।

সৌদি আরব কোন ভিসায় গেলে ভালো হবে অর্থাৎ সৌদি আরব কোন ভিসায় গেলে বেশি বেতন পাওয়া যাবে তা আমাদের দেশের অনেক ভাই জানার জন্য গুগলে এসে সার্চ করে থাকেন। আপনি যদি সৌদি আরব ওয়ার্ক পারমিটে যেতে চান, তবে অবশ্যই আমেল আইদি বা ফ্রি ভিসায় যেতে পারেন।

আরও পড়ুন – মালয়েশিয়া কোন ভিসা ভালো জেনে নিন

সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি

সৌদি আরবে ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বিং, অটোমোবাইল, টেকনিশিয়ান, ওয়েল্ডিং কাজে এখন সবথেকে বেশি বেতন পাওয়া যায়। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সৌদি আরব যেতে চাইলে উপরোক্ত কাজগুলো করতে পারেন। এই কাজগুলোতে যদি আপনার দক্ষতা থাকে, তবে সৌদি আরব গিয়ে সবথেকে বেশি বেতনে কাজ করতে পারবেন।

এছাড়াও, কোম্পানি ভিসায় সৌদি আরবে বেশি বেতন পাওয়া যায়। কোম্পানি ভেদে বেতন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই, সৌদি আরব কোম্পানি ভিসায় যাওয়ার পূর্বে কোম্পানির বেতন কত জেনে নেয়া উচিত।

সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার

সৌদি আরব যেতে চাইলে কয়েক প্রকার ভিসায় যেতে পারবেন। সৌদি আরবে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বিভিন্ন ধুরনের ভিসায় যেতে পারবেন। এসব ভিসার মাঝে নিম্নোক্ত ভিসাগুলো রয়েছে।

  • সৌদি আমেল আইদি ভিসা
  • সৌদি আরব মাজরার ভিসা
  • সৌদি আমেল মঞ্জিল ভিসা
  • সৌদি চাওয়াক খাছ ভিসা
  • সৌদি আরব সুপার মার্কেট ভিসা
  • সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা

উপরোক্ত ভিসায় সৌদি আরব যেতে পারবেন। সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো জানার জন্য উপরোক্ত ভিসাগুলো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে হবে। চলুন, এই ভিসা গুলো নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

সৌদি আমেল আইদি ভিসা

সৌদি আমেল আইদি ভিসায় যেতে ৪-৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এই ভিসায় সৌদি আরবের একজন কফিল এর আন্ডারে সৌদি আরব যেতে হয়। যে কফিল আপনাকে সৌদি নিয়ে যাবে, তার অনুমতি নিয়ে আপনি যেকোনো কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য, কফিলকে অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণ রিয়াল দিতে হয়।

আমেল আইদি ভিসায় সৌদি আরব গেলে কত টাকা ইনকাম করেত পারবেন তা নির্ভর করবে আপনি কোন কাজ করছেন এবং কাজের দক্ষতার উপর।

আরও পড়ুন — সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে

সৌদি আরব মাজরার ভিসা

মাজরার ভিসায় সৌদি আরব যেতে ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৩.৫ লক্ষ্য টাকা অব্দি লাগে। এই ভিসায় সৌদি গেলে সাধারণত ফলের বাগানে কাজ দেয়া হয়। যাদের কাজের দক্ষতা কম বা নেই, তাদেরকেই এই কাজে নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। আপনি যদি সৌদি আরব মাজরার ভিসায় যান, তবে প্রতি মাসে ১ হাজার থেকে ১.৫ হাজার রিয়াল অব্দি ইনকাম করতে পারবেন।

সৌদি আমেল মঞ্জিল ভিসা

সৌদি আমেল মঞ্জিল ভিসায় সৌদি আরব গেলে সাধারণত বাসা-বাড়ির ভিতর কাজ করতে হয়। যে মালিকের আন্ডারে যাবেন তার বাড়ির ভিতরে ক্লিনার/দারোয়ান বা অন্য কাজ করতে হবে। আমেল মঞ্জিল ভিসায় সৌদি আরব যেতে ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়। প্রতি বছর এই ভিসা রিনিউ করতে ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা লাগে।

আমেল মঞ্জিল ভিসায় গেলে মালিকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো কাজ করা যাবে না।

আরও পড়ুন – পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি ভিসা চেক করুন

সৌদি চাওয়াক খাছ ভিসা

সৌদি আরব চাওয়াক খাছ ভিসায় গেলে মালিকের নিজস্ব ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতে হবে। মালিকের অনুমতি ছাড়া এই ভিসায় অন্য কোনো কাজ করা যায় না। এই ভিসায় সৌদি আরব যেতে ৩ লক্ষ থেকে ৩.৫লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে। চাওয়াক ভিসায় প্রতি মাসে ১ হাজার থেকে ১.৫ হাজার সৌদি রিয়াল ইনকাম করা যায়।

সৌদি আরব সুপার মার্কেট ভিসা

সৌদি আরবের সবথেকে ভালো ভিসাগুলোর মাঝে আরেকটি হচ্ছে সৌদি আরব সুপার মার্কেট ভিসা। আপনি যদি সৌদি আরব সুপার মার্কেট ভিসায় যেতে চান, তবে আপনার বয়স ২১ থেকে ৩৮ এর মাঝে হতে হবে। সুপার মার্কেটে কাজ করে প্রতি মাসে ১০০০ থেকে ১৪০০ রিয়াল অব্দি ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়াও, ওভার টাইম কাজ করে আরও বেশি পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো তা নিশ্চয়ই জেনে গেছেন। এখন চলুন, সৌদি আরবের আর ক্লিনার ভিসা নিয়ে আলোচনা করা যাক।

সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা

সৌদি আরব ক্লিনার ভিসায় যেতে চাইলে ৪ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে। সৌদি ক্লিনার ভিসায় গেলে প্রতি মাসে ১ হাজার রিয়াল এর বেশি ইনকাম করতে পারবেন। দক্ষতা নেই এমন অনেকেই সৌদি ক্লিনার ভিসায় গিয়ে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করছে। আপনি যদি সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো জানতে চান, তবে সৌদি ক্লিনার ভিসার ব্যাপারটিও যাচাই করে দেখতে হবে। কারণ, এই ভিসায় সৌদি গিয়েও আপনি দক্ষতা ছাড়া ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

FAQ

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত?

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন প্রতি মাসে ১ হাজার থেকে ১.৫ হাজার রিয়াল অব্দি ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও, কোম্পানি থেকে খাওয়া এবং থাকার ব্যবস্থা করে দিবে। তাই, আপনার ইনকামের সিংহভাগ জমা করতে পারবেন।

সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি?

সৌদি আরবে এখন ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বিং, অটোমোবাইল, টেকনিশিয়ান, ওয়েল্ডিং কাজে বেতন সবথেকে বেশি। প্রবাস যেতে চাইলে সৌদি আরব এসব কাজের প্রশিক্ষণ নিয়ে যেতে পারেন। সবথেকে বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত?

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন ১-১.৫ হাজার রিয়াল অব্দি হয়ে থাকে। আপনার যদি কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে বা ট্রেনিং নিয়ে যান, তবে বেশি পরিমাণ বেতন পাবেন। এছাড়াও, সময়ের সাথে সাথে প্রোমোশন পাওয়ার সুযোগ থাকে।

সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা বেতন কত?

সৌদি আরব ক্লিনার ভিসায় গেলে প্রতি মাসে ১ হাজার রিয়াল থেকে শুরু করে এর বেশিও বেতন পাবেন।

সৌদিতে ৯০ দিনের বেশি থাকা যাবে কি?

আপনার ভিসার মেয়াদ যদি ৯০ দিন হয়, তাহলে ৯০ দিন থাকতে পারবেন। কিন্তু, আপনি চাইলে ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৯০ দিনের বেশি থাকতে পারবেন। তবে, সৌদি ট্রাভেল ভিসায় যেতে চাইলে আরও বেশি মেয়াদের ভিসা করতে পারবেন।

সৌদি আরবের জন্য কোন ভিসা ভালো?

সৌদি আরবের জন্য সৌদি পর্যটক ই-ভিসা সবথেকে ভালো। তবে, কাজ করার উদ্দেশ্যে সৌদি যেতে চাইলে সৌদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সবথেকে ভালো।

সৌদি ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

সৌদি ভিসা আবেদন করার পর ভিসা প্রসেসিং হতে এবং সৌদি ভিসা পেটে ৩ দিন থেকে ৭ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। কখনও ১ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

সৌদি আরবে ভিজিট ভিসার মেয়াদ শেষ হলে কত টাকা জরিমানা?

সৌদি আরবে ভিজিট ভিসার মেয়াদ শেষ হলে প্রতিদিনের জন্য SAR 100 ফি জরিমানা হিসেবে দিতে হয়।

আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে সৌদি কোন ভিসা ভালো এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি, আপনি সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন। ভিসা এবং পাসপোর্ট সহ সব ধরণের ই-সার্ভিস বিষয়ক সমস্যার সমাধান জানতে আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত ভিজিট করতে পারেন। এছাড়াও, নিচের পোস্টগুলো পড়তে পারেন। আল্লাহ্‌ হাফেয।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *