সরকারিভাবে যেকোনো দেশে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে গেলে অনেক কম খরচ হয়। সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এই বিষয়টি সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে আপনাদের সাথে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করবো।
আমাদের দেশে সরকারি উদ্যোগে কয়েকটি দেশে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এসব দেশ যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিট পেতে এবং কাজের প্রশিক্ষণ নিতে ব্যক্তিগত অর্থ তেমন খরচ করতে হয়না। সরকারি উদ্যোগে হওয়ার কারণে সরকারি অর্থ দিয়েই এসব কাজ করা হয়।
তো চলুন, সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এবং আপনার স্বপ্নের দেশে সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন কিনা সেটি জেনে নেয়া যাক।
এক নজরে পোস্টের বিষয়বস্তু
সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
সরকারিভাবে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, ভারত, ওমানসহ বেশ কয়েকটি দেশে যাওয়া যায়। এসব দেশ ছাড়াও আরও অনেক দেশ আছে যেগুলোতে সরকারিভাবে যেতে পারবেন। অর্থাৎ, এসব দেশ যেতে চাইলে দালালের সহযোগিতা নিতে হবেনা কিংবা কোনো ভিসা এজেন্সির কাছে যেতে হবেনা।
এছাড়া, যেসব দেশ সরকারিভাবে যাওয়া যায়, সেসব দেশ যেতে ব্যক্তিগত অর্থ অনেক কম খরচ হয়। একটি দেশে দালালের সহযোগিতা নিয়ে যেতে যেখানে ৮-১০ লাখ টাকা খরচ হয়। সেখানে, সরকারিভাবে সেই দেশে যেতে সর্বোচ্চ ২-৩ লাখ টাকা খরচ হয়। প্রয়োজনীয় খরচ ছাড়া সরকারি উদ্যোগে বিদেশ যেতে কোনো খরচ হয়না।
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় তার একটি বিস্তারিত তালিকা নিচে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। এসব দেশে সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য পাশে থাকা ভিসা আবেদন করার নিয়ম বাটনে ক্লিক করে কীভাবে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে ভিসা করতে হয় তা জানতে পারবেন।
ক্রমিক নং | দেশের নাম | ভিসা আবেদন |
১ | জাপান | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
২ | অস্ট্রেলিয়া | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
৩ | কানাডা | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
৪ | সৌদি আরব | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
৫ | কাতার | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
৬ | লেবানন | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
৭ | ওমান | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
৮ | রোমানিয়া | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
৯ | ভারত | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
১০ | দক্ষিণ কোরিয়া | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
১১ | সিঙ্গাপুর | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
১২ | কুয়েত | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
১৩ | যুক্তরাষ্ট্র | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
১৪ | যুক্তরাজ্য | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
১৫ | লন্ডন | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
১৬ | মালয়েশিয়া | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
১৭ | সংযুক্ত আরব আমিরাত | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
১৮ | মালদ্বীপ | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
১৯ | ইরাক | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
২০ | সুইজারল্যান্ড | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
২১ | কম্বোডিয়া | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
২২ | লিবিয়া | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
২৩ | জর্ডান | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
২৪ | ইটালি | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
২৫ | বাহারাইন | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
২৬ | জ্যামাইকো | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
২৭ | নিউজিল্যান্ড | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
২৮ | ফিনল্যান্ড | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
২৯ | মরিশাস | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
৩০ | থাইল্যান্ড | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
৩১ | চীন | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
৩২ | শ্রীলঙ্কা | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
৩৩ | ব্রুনাই দারুসসালাম | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
৩৪ | ডেনমার্ক | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
৩৫ | ফ্রান্স | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
৩৬ | পোল্যান্ড | ভিসা আবেদন করার নিয়ম |
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে চাইলে গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে AMI PROBASHI অ্যাপ ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিবেন। এরপর, অ্যাপটি ওপেন করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য সকল ডকুমেন্ট দিয়ে যে দেশে যেতে চান, সেই দেশের ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করবেন।
যে দেশে যেতে ইচ্ছুক এবং যে কাজের জন্য যেতে ইচ্ছুক, সেই কাজের বেতন কত টাকা, কতদিন চাকুরী করতে পারবেন উক্ত দেশে এসকল বিষয় Ami Probashi অ্যাপ থেকেই জেনে নিতে পারবেন। এরপর, চাকুরীর জন্য আবেদন করলে আপনার দেয়া সকল তথ্য তারা যাচাই করে দেখবে।
যে কাজের জন্য আবেদন করেছেন, সেই কাজের উপর আপনার দক্ষতার প্রমাণপত্র দিতে হবে। এটি দেখার পর তাদের পছন্দ হলে আপনাকে ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য কল করবে। ইন্টারভিউ দেয়ার পর টিকতে পারলে আপনি সরকারিভাবে বিদেশ যেতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে কোনো দালালের সহযোগিতা বা ভিসা এজেন্সির প্রয়োজন হবেনা।
আরও পড়ুন — সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা লাগে
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে ১ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত লেগে থাকে। পাসপোর্ট করতে পাসপোর্ট ফি, ভিসা আবেদন ফি, ভিসা প্রসেসিং ফি, বিমানের টিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, মেডিকেল রিপোর্ট ইত্যাদি খরচ মিলে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে মোট ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা লেগে থাকে।
সরকারিভাবে বিদেশ যেতে যেখানে ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা লাগে, সেখানে কোনো দালালের সহযোগিতা নিলে বা ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিলে ৬-৮ লাখ টাকা পর্যন্ত লেগে থাকে। তাই, যেকোনো দেশে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কাজ করতে যেতে চাইলে সরকারিভাবে উক্ত দেশের ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করার জন্য উপরোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
কম খরচে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
সবথেকে কম খরচে ভারত, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, পোল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, ওমান ইত্যাদি দেশ যাওয়া যায়। ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বাইরের দেশ যেতে চান কিন্তু অল্প টাকায় যাওয়া যায় এমন দেশ খুঁজে থাকলে এই দেশগুলোর ভিসা আবেদন করতে পারেন।
সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার ওয়েবসাইট
সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার ওয়েবসাইট হচ্ছে https://probashi.gov.bd এটি। এই ওয়েবসাইট ভিজিট করে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও, গুগল প্লে স্টোর থেকে Ami Probashi অ্যাপ ইনস্টল করে এই অ্যাপ দিয়েও বিদেশ যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ প্রকাশ করা হয় AMI PROBASHI অ্যাপ এবং https://probashi.gov.bd ওয়েবসাইটে। সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য এই দুইটি মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্র সহ সকল ডকুমেন্ট দিয়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রায় প্রতি মাসে অনেক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিনা টাকায় বা অল্প টাকায় ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বিদেশ যেতে চাইলে উপরোক্ত দুইটি পদ্ধতি অনুসরণ করে বিদেশ যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।
সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ২০২৪
সরকারিভাবে ইউরোপ সহ বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে যেতে পারবেন। ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে এসব দেশে যেতে চাইলে AMI PROBASHI অ্যাপ থেকে কিংবা https://probashi.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এরপর, আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য সকল তথ্য দিয়ে সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার আবেদন করুন।
AMI PROBASHI অ্যাপ এর ভিতর ইউরোপের অনেক দেশের কাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আপনি চাইলে এসব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার মাধ্যমে বিদেশ যেতে পারবেন।
সারকথা
আজকের এই ব্লগে আপনাদের সাথে সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এবং সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে সরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কীভাবে বিদেশ যাবেন, সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।