লিথুনিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করার পর লিথুনিয়া কাজের ভিসা আবেদন করার মাধ্যমে কাজের ভিসায় লিথুনিয়া যেতে পারবেন। কীভাবে লিথুনিয়া যেতে হবে জানতে পারবেন এই পোস্টে।

আমাদের দেশের অনেকেই লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে আগ্রহী। লিথুনিয়া যেতে চাইলে আপনাকে একটি ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে। এরপর, ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে লিথুনিয়া ভিসা আবেদন করতে হবে।

কীভাবে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করবেন এবং অনলাইনে ভিসা আবেদন করবেন, এছাড়াও, লিথুনিয়া যেতে কি কি লাগে, লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে এসব নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

লিথুনিয়া কাজের ভিসা

লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিটের সংগ্রহ করার পর ভিসা প্রসেসিং ফি সহ আনুসাঙ্গিক খরচ প্রদান করার মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। এরপর, প্লেনের টিকেট কেটে লিথুনিয়া যেতে পারবেন কাজের ভিসায়।

কীভাবে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে, তা নিয়ে নিচে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেছি। চলুন, জেনে নেয়া যাক।

লিথুনিয়া কাজের ভিসা ২০২৪

লিথুনিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ এর জন্য আবেদন করার পর মাত্র ৭-৮ লক্ষ টাকায় লিথুনিয়া যেতে পারবেন। এজন্য, ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে এবং লিথুনিয়া ভিসা আবেদন করতে হবে। তাহলে, ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় লিথুনিয়া যেতে পারবেন।

লিথুনিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম সহ লিথুনিয়া ভিসা কত টাকা এবং লিথুনিয়ার ভিসার জন্য কি কি লাগে নিচে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আরও পড়ুন – ফিজি কাজের ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ২০২৪

লিথুনিয়া ভিসা করতে কি কি লাগে

লিথুনিয়া ভিসা করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট লাগে। এগুলো হচ্ছে –

  • লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট
  • ৬ মাস মেয়াদ সহ বৈধ পাসপোর্ট
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
  • মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার সার্টিফিকেট
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • কাজের উপর দক্ষতার প্রমাণপত্র
  • লিথুনিয়া থেকে পাওয়া আমন্ত্রনপত্র
  • আবেদনকারীর ইনকাম সোর্স এর প্রমাণপত্র

লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট কাজের ভিসায় আবেদন করতে চাইলে উপরোক্ত তথ্য এবং ডকুমেন্টগুলো লাগবে। এই ডকুমেন্টগুলো দিয়ে লিথুনিয়ার কাজের ভিসায় আবেদন ২০২৪ করতে পারবেন। চলুন, ভিসা ফি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

আরও পড়ুন — জাপান যেতে কত টাকা লাগে

লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে

লিথুনিয়া যেতে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ, ভিসা ফি, ভিসা প্রসেসিং ফি, প্লেনের টিকেট এবং আনুসাঙ্গিক খরচ সহ লিথুনিয়া যেতে ৭-৮ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। তবে, ভিসা এজেন্সির সহযোগিতা নিলে খরচ কম বা বেশি হতে পারে যা ভিসা এজেন্সির উপর নির্ভর করে থাকে।

লিথুনিয়ার কাজের ভিসার দাম সাধারণত ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। এই টাকা জমা দিয়ে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে হয়। তবে, লিথুনিয়া যেতে সর্বমোট ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা লেগে থাকে।

লিথুনিয়া কাজের ভিসা আবেদন

লিথুনিয়া কাজের পাওয়ার জন্য প্রথমেই ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে, এরপর লিথুনিয়া এম্বাসিতে যোগাযোগ করে ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে এবং সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অ্যাপয়েনমেন্ট নিতে হবে এবং ভিসা প্রসেসিং হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এভাবে করেই লিখুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরও বিস্তারিত জানার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

ধাপ ১ – লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ

লিথুনিয়া কাজের জন্য যেতে চাইলে প্রথমেই ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করতে হবে। লেবার এক্সচেঞ্জ ওয়ার্ক পারমিট নেয়ার জন্য নিয়োগকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং তার থেকে কাজের অনুমতি পত্র নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করে ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করতে হবে।

তবে, কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে অনেক সময় লেবার এক্সচেঞ্জ ওয়ার্ক পারমিট এর প্রয়োজন হয় না। তখন আপনি ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই ভিসা আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন – কানাডা জব ভিসা ২০২৪

ধাপ ২ – লিথুনিয়া ভিসা এম্বাসিতে যোগাযোগ করুন

লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার জন্য কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে নিকটতম লিথুনিয়া ভিসা এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে। এরপর, ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে এবং তা পূরণ করে সাথে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।

এসকল কাজ করে ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করার পর গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সহ আবেদন জমা দিতে অ্যাপয়েনমেন্ট নিতে হবে।

ধাপ ৩ – অ্যাপয়েনমেন্ট নিতে হবে

ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করার পর সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজ জমা দিতে অ্যাপয়েনমেন্ট নিতে হবে। অ্যাপয়েনমেন্ট নিয়ে ভিসা এম্বাসিতে গিয়ে সকল কাগজ জমা দিতে হবে।

ধাপ ৪ – ভিসা প্রসেসিং এর জন্য অপেক্ষা করুন

সকল কাগজপত্র সহ ভিসা আবেদন ফরম অ্যাপয়েনমেন্ট নিয়ে জমা দেয়ার পর ভিসা প্রসেসিং হতে ৭ দিন থেকে ৩০ দিন সময় লাগতে পারে। অনেক সময় লিথুনিয়া কাজের ভিসা প্রসেসিং হতে ৭ দিন থেকে ১৪ দিন লেগে থাকে। ভিসা প্রসেসিং হয়ে গেলে ভিসা নিয়ে লিথুনিয়া যেতে পারবেন।

লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে উপরোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে এবং ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। তাহলে লিথুনিয়া যেতে পারবেন এবং কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন বেশি তা নিচে জানতে পারবেন।

লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

লিথুনিয়ায় নির্মাণ কাজ, পরিবহন ও লজিস্টিকস কাজ, উৎপাদন কাজে চাহিদা সবথেকে বেশি। এসব ক্যাটাগরির ভিতর আরও অনেক কাজ রয়েছে যেগুলোতে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলে আপনি লিথুনিয়া গিয়ে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

লিথুনিয়ায় কাজের চাহিদা বেশি এমন কিছু কাজের তালিকা নিম্নরূপ –

  • ফার্মওয়ার্কার
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • প্লাম্বার
  • ওয়েল্ডার
  • কাঠের কারিগর
  • ড্রাইভার
  • লজিস্টিকস অফিসার
  • স্টোরকিপার
  • ডেলিভারি ম্যান
  • ফ্যাক্টরি কর্মী
  • মেশিন অপারেটর
  • প্রোডাকশন লাইন সুপারভাইজার
  • ওয়ারহাউস কর্মী
  • রাঁধুনি
  • বেকার
  • ওয়েটার/ওয়েট্রেস
  • বারটেন্ডার
  • ফুড প্রসেসিং ওয়ার্কার
  • বিক্রয় প্রতিনিধি
  • হোটেল কর্মী

এসব কাজের যেকোনো কাজে দক্ষতা থাকলে সেই কাজটি করে লিথুনিয়া গিয়ে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

লিথুনিয়া কাজের বেতন কত

লিথুনিয়া কাজের বেতন বাংলাদেশি টাকায় ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। লিথুনিয়ায় যেকোনো কাজে অভিজ্ঞ হতে পারলে প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও, ওভারটাইম কাজ করলে আরও বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

লিথুনিয়ায় প্রমোশনের সুযোগ আছে। তাই, আপনি যদি ভালো কাজ করতে পারেন, তবে বেতন ভালো পাবেন এবং প্রমোশন পেতে পারেন। এতে করে আপনার বেতন আরও বেশি হবে।

আরও পড়ুন – সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত টাকা

শেষ কথা

লিথুনিয়া কাজের ভিসা ২০২৪ নিয়ে আলোচনা করেছি। এখানে লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগবে, লিথুনিয়া যেতে কি কি লাগে সহ আরও অনেক তথ্য শেয়ার করেছি। ভিসা সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে ভিসা ক্যাটাগরি ভিজিট করুন।

FAQ

লিথুনিয়া কাজের ভিসার মেয়াদ কতদিন?

লিথুনিয়া কাজের ভিসা মেয়াদ সাধারণত ১ বছর। তবে আপনি চাইলে মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারবেন।

লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে?

লিথুনিয়া যেতে ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা লেগে থাকে। ভিসা ফি, প্লেনের টিকেট, মেডিকেল ফি সহ সকল আনুসাঙ্গিক কাজ করতে পারবেন এই টাকায়।

লিথুনিয়া ভিসা প্রসেসিং হতে কতদিন লাগে?

লিথুনিয়া ভিসা প্রসেসিং হতে ৭ দিন থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত লেগে থাকে। তবে, অনেক সময় ৩০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

লিথুনিয়ায় কত ঘণ্টা কাজ করা যায়?

লিথুনিয়ায় একজন শ্রমিক ৭-৮ ঘণ্টা কাজ করতে পারে। তবে, কেউ চাইলে ওভারটাইম করে ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করতে পারে।

লিথুনিয়া কাজের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যাবে?

হ্যাঁ, আপনি চাইলে লিথুনিয়া কাজের ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারবেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 Comments