মালয়েশিয়া কোন ভিসা ভালো তা অনেকেই জানতে চান। মালয়েশিয়া যেতে চাইলে এমন অনেক প্রশ্নের জন্ম হয় আমাদের মনে। আপনি যদি মালয়েশিয়া যেতে চান, তবে মালয়েশিয়া কোন ভিসা ভালো জেনে নেয়া উচিত।
এনআইডি চেক ওয়েবসাইটের আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে মালয়েশিয়া কোন ভিসা ভালো তা নিয়ে আলোচনা করবো। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে মালয়েশিয়ার সব ধরণের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।
এক নজরে পোস্টের বিষয়বস্তু
মালয়েশিয়া কোন ভিসা ভালো
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য অনেক ভিসা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে – স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, বিজনেস ভিসা, ভ্রমণ বা ট্যুরিস্ট ভিসা। তবে, আমাদের দেশ থেকে মালয়েশিয়া বেশিরভাগ মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়েই গিয়ে থাকে। কারণ, মালয়েশিয়ায় অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে।
তাই, সবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করে থাকে। আপনিও যদি মালয়েশিয়া কাজ করার জন্য যেতে চান, তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে পারেন। এই ভিসায় মালয়েশিয়া গেলে বেশি মেয়াদে থাকতে পারবেন এবং ভালো বেতনে কাজ করতে পারবেন।
এছাড়াও, অনেকেই মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে গিয়ে থাকে। কারণ, মালয়েশিয়ায় পড়ালেখার মান অনেক ভালো। তাই, আমাদের দেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী মালয়েশিয়া গিয়ে থাকে, তারা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যায়। স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়া গেলেও পড়ালেখার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করা যায়।
আরও পড়ুন - মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার উপায়
তাই, অনেকেই মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়ে নিজের পড়ালেখার খরচ নিজেই বহন করে থাকেন। আপনি মালয়েশিয়া যে উদ্দেশ্যে যাবেন, সেই ভিসা নেয়া উচিত হবে।
মালয়েশিয়া কোন কাজের কোন ভিসা
মালয়েশিয়া যাওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য যদি হয় কাজ করে টাকা ইনকাম করা, তবে মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়াই উত্তম। এতে করে, মালয়েশিয়া গিয়ে বেশি মেয়াদে থেকে কাজ করে দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে পারবেন। কিন্তু, আপনি যদি মালয়েশিয়া পড়ালেখা করার উদ্দেশ্যে যেতে চান, তবে অবশ্যই স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হবে।
মালয়েশিয়ার ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার করার পাশাপাশি তখন পার্ট টাইম জব করে আপনার পড়ালেখার খরচ চালিয়ে নিতে পারবেন। স্টুডেন্টদের জন্য তাই মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা সবথেকে সেরা।
আপনি যদি বিজনেস বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যেতে চান, তবে মালয়েশিয়া বিজনেস ভিসা নিতে পারেন। এক্ষেত্রে, আপনি মালয়েশিয়া গিয়ে আপনার ব্যবসায়ের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন কোনো সমস্যা ছাড়াই। যাদের ইম্পোর্ট এবং এক্সপোর্ট এর বিজনেস আছে, তারা মালয়েশিয়া যেতে মালয়েশিয়া বিজনেস ভিসা নিতে পারেন।
আরও পড়ুন - পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করুন অনলাইনে
এছাড়া, আপার যদি উদ্দেশ্য হয় যে, আপনি মালয়েশিয়া গিয়ে ঘুরাঘুরি করবেন, পুরো দেশ ভ্রমণ করবেন, তাহলে মালয়েশিয়া ট্যুরিস্ট ভিসা নিতে পারেন। ট্যুরিস্টদের জন্য মালয়েশিয়া ভ্রমণ ভিসা বেটার অপশন।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া গিয়ে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে চান। ২০২৪ সালে মালয়েশিয়া থেকে কলিং ভিসা চালু হবে। মালয়েশিয়া থেকে অনেক কোম্পানি কর্মী নিয়োগ দিবে। এসব কোম্পানিতে কাজ করতে যাওয়ার জন্য মালয়েশিয়া কলিং ভিসা নিতে হবে।
কোম্পানিতে কাজ করার জন্য কর্মী হিসেবে যেতে পরের বছর মালয়েশিয়া কলিং ভিসা নিতে পারেন।
মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত
ভিসার ধরণ অনুযায়ী মালয়েশিয়া ভিসার দাম নির্ধারিত হয়ে থাকে। আপনি যে ভিসার জন্য আবেদন করবেন, সেই ভিসা অনুযায়ী আপনার ভিসার দাম নির্ধারণ করা হবে। আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে চান, তবে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন হবে, স্টুডেন্ট ভিসায় গেলে তার থেকে কম টাকা প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন - পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি ভিসা চেক করুন
আবার যারা মালয়েশিয়া ট্যুরিস্ট ভিসায় যাবে, তাদের আরও কম টাকা প্রয়োজন হবে। মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত টাকা তার একটি তালিকা নিচে পেয়ে যাবেন।
মালয়েশিয়ায় ভিসা তালিকা | ভিসার দাম |
এম এম ২ এইচ | ১০,০০,০০০ টাকা |
কলিং ভিসা | ২,৫০,০০০ টাকা |
ড্রাইভিং ভিসা | ৩,৫০,০০০ টাকা |
রেস্টুরেন্ট ভিসা | ৩,০০,০০০ |
ইলেকট্রনিক্স ভিসা | ৩,৫০,০০০ টাকা |
ফ্যাক্টরি ভিসা | ২,৫০,০০০ টাকা |
কাজের ভিসা | ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা |
স্টুডেন্ট ভিসা | ২,৫০,০০০ টাকা |
ক্লিনার ভিসা | ২,২০,০০০ টাকা |
উপরোক্ত তালিকায় উল্লেখ করে দেয়া মালয়েশিয়া ভিসা দামের সাথে আপনি যখন ভিসা আবেদন করতে যাবেন, তখন দামের কিছুটা পার্থক্য হতে পারে।
FAQ
মালয়েশিয়া কোন কাজের বেতন বেশি?
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি কাজের জন্য বেতন সবথেকে বেশি। মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিটে ফ্যাক্টরি কাজের জন্য গেলে অন্য কাজের থেকে বেশি বেতন পাবেন।
মালয়েশিয়া ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত?
মালয়েশিয়া ইলেকট্রিক কাজের বেতন ৭০-৮০ হাজার টাকা অব্দি হয়ে থাকে। আপনি যদি অভার টাইম কাজ করেন, তবে প্রায় ১ লক্ষ টাকা প্রতি মাসে বেতন পাবেন। এছাড়া, আপনার কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করে আপনার বেতন বেশি হতে পারে।
মালয়েশিয়া ড্রাইভিং বেতন কত?
মালয়েশিয়া ড্রাইভিং বেতন ৩ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত বা বাংলাদেশি টাকায় ৮০ হাজার টাকার বেশি। আপনি যদি মালয়েশিয়া ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে গিয়ে ড্রাইভিং করেন, তবে প্রতি মাসে ৮০ হাজার টাকার কিছু কম বা বেশি অব্দি ইনকাম করতে পারবেন।
এই পোস্টে আপনাদের সাথে মালয়েশিয়া কোন ভিসা ভালো এবং মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ভিসা নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনি যদি পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন, তবে মালয়েশিয়া কোন ভিসা ভালো জেনে যাওয়া কথা। আরও এমন তথ্য জানতে নিচের পোস্টগুলো পড়তে পারেন।