এস এ খতিয়ান কী, এস এ খতিয়ান যাচাই করার পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে এস এ খতিয়ান অনলাইন চেক করার পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে এস এ খতিয়ান কীভাবে চেক করতে হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে জমির খতিয়ান যাচাই করার প্রয়োজন পরে। জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য অনেক সহজ পদ্ধতি রয়েছে। এছাড়াও, জমির খতিয়ান কয়েক ধরণের রয়েছে। ইতোমধ্যে আমি কয়েকটি খতিয়ান যাচাই করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি। এখন আলোচনা করবো, এস এ খতিয়ান কী এবং কীভাবে অনুসন্ধান করবেন এবং খতিয়ান আবেদন করবেন।
এক নজরে পোস্টের বিষয়বস্তু
এস এ খতিয়ান কী?
১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশ ভাগ হয়ে ভারত এবং পাকিস্তান নামে আলাদা দুইটি রাস্ট্রের জন্ম হয়। বর্তমান বাংলাদেশ, তৎকালীন পাকিস্তান রাস্ট্র হিসেবে ছিলো। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত করার ফলে নতুন করে জমি জরিপ করা হয়। ১৯৫৬ সালের উক্ত জরিপকে SA জরিপ বলা হয়। এই জরিপ থেকেই এস এ খতিয়ান এসেছে। এস এ খতিয়ান অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি খতিয়ান জমির জন্য।
এস এ খতিয়ান যাচাই
এস এ খতিয়ান যাচাই করার জন্য eporcha.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এরপর, বিভাগ, জেলা, উপজেলা, খতিয়ানের ধরণ থেকে এস এ খতিয়ান নির্বাচন করে জমির মৌজা নির্বাচন করে দিবেন। এরপর, জমির মালিকের নাম দিয়ে সহজেই এস এ খতিয়ান অনলাইনে চেক করতে পারবেন।
এস এ খতিয়ান অনলাইন চেক করার জন্য আপনি নিচে উল্লিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন। নিচে বিস্তারিত পদ্ধতি ছবি সহকারে উল্লেখ করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।
ধাপ ১ – জমির ঠিকানা এবং খতিয়ান নির্বাচন
প্রথমেই ভিজিট করুন eporcha.gov.bd ওয়েবসাইট। এরপর, নিচের দিকে স্ক্রল করে জমির ঠিকানা নির্বাচন করবেন – বিভাগ, জেলা, উপজেলা অনুসারে। অতঃপর, খতিয়ানের ধরণ থেকে এস এ খতিয়ান এ ক্লিক করবেন। এছাড়াও, আপনি চাইলে নামজারি খতিয়ান / আর এস খতিয়ান / বি আর এস খতিয়ান / বি এস খতিয়ান অনুসন্ধান এবং আবেদন করতে পারেন।
অতঃপর, জমির মৌজা নির্বাচন করবেন এবং খতিয়ানের তালিকা থেকে আপনার জমির খতিয়ান খুঁজে বের করবেন।
এক্ষেত্রে, খতিয়ান নং দিয়ে সার্চ করতে পারেন কিংবা অধিকতর অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করে দাগ নাম্বার/মালিকের নাম দিয়ে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারেন।
খতিয়ান অনুসন্ধান করে খতিয়ান বের করার পর খতিয়ানের উপর দুইবার ক্লিক করবেন। এরপর, আপনার জমির খতিয়ানের বিস্তারিত তথ্য দেখতে পারবেন। সেখানে থাকা বিস্তারিত বাটনে ক্লিক করে বিস্তারিত তথ্য এবং খতিয়ান আবেদন বাটনে ক্লিক করে খতিয়ানের অনলাইন কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে, ১০০ টাকা ফি মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
এই পদ্ধতি অনুসরণ করে সহজেই এস এ খতিয়ান এর বিস্তারিত তথ্য দেখতে পাবেন। জমির দাগ নাম্বার বের করা কিংবা জমির মালিকের নাম যাচাই করা, যেকোনো কাজে এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। এছাড়াও, খতিয়ানের অনলাইন কপি সংগ্রহ করার জন্য খতিয়ান আবেদন করতে পারেন। আশা করছি, পদ্ধতিটি বুঝতে পেরেছেন।
FAQ
এস এ খতিয়ান কি?
ভারতবর্ষ ভাগ হওয়ার পর ১৯৫৬ সালে যে জরিপ করা হয়, সেই জরিপ তৈরি হওয়া জমির খতিয়ানকে এস এ খতিয়ান বলা হয়।
কোন জরিপ এর মাধ্যমে এস এ খতিয়ান তৈরি হয়েছে?
SA জরিপ এর মাধ্যমে এস এ খতিয়ান তৈরি করা হয়েছে। এই খতিয়ান জমির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এস এ জরিপ করা হয় কত সালে?
১৯৫৬ সালে এস এ জরিপ করা হয়। এই জরিপ থেকেই এস এ খতিয়ান তৈরি করা হয়।
এস এ খতিয়ান অনুসন্ধান করার উপায় কি?
এস এ খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য ই-পর্চা ওয়েবসাইট eporcha.gov.bd ভিজিট করতে হবে। এরপর, বিভাগ, জেলা, উপজেলা, এস এ খতিয়ান নির্বাচন করে মৌজা নির্বাচন করতে হবে। অতঃপর, জমির খতিয়ানের তালিকা থেকে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন। এছাড়াও, সার্চ করেও এস এ খতিয়ান যাচাই করতে পারবেন।
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে এস এ খতিয়ান যাচাই করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমার এই ওয়েবসাইটে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরণের খতিয়ান চেক করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি। ই-সার্ভিস বিষয়ক এমন আরও তথ্য জানতে আমার ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়তে পারেন।
Great content!