ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য ভুল থাকলে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে জেনে আপনার এনআইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করতে পারবেন অনেক সহজেই।
বাংলাদেশে বসবাসকারী ১৮ বছর বয়সের বেশি যাদের বয়স, তাদের সকরলেরই ভোটার আইডি কার্ড অনেক প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। কিন্তু, ভোটার আইডি কার্ডের জন্য নিবন্ধন করার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে নাম/পিতার নাম/মাতার নাম/বয়স/রক্তের গ্রুপ ভুল হতে পারে।
ভুল তথ্য দিয়ে কোনো কাজ করা সম্ভব নয়। তাই, ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে হয়। ভোটার আইডি সংশোধন করতে হলে কিছু তথ্য এবং ডকুমেন্ট প্রয়োজন। এনআইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে তা নিয়েই আজ আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
এক নজরে পোস্টের বিষয়বস্তু
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে জন্ম নিবন্ধন সনদের অনলাইন কপি, যেকোনো বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট, রক্তের গ্রুপ টেস্ট এর রিপোর্ট ইত্যাদি ডকুমেন্ট লাগে। তবে, এনআইডি কার্ডে কীরূপ ভুল হয়েছে তার উপর নির্ভর করে আলাদা আলাদা ডকুমেন্ট লাগে।
ভোটার আইডি কার্ডে কয়েক ধরনের ভুল হতে পারে। এগুলো হচ্ছে নিজের নামের ভুল, পিতা-মাতার নামের ভুল, ঠিকানা ভুল, রক্তের গ্রুপ ভুল, জন্ম তারিখ ভুল ইত্যাদি। এছাড়াও, নামের ক্ষেত্রে পুরো নাম কিংবা নামের আংশিক ভুল হতে পারে। আবার জন্ম তারিখের ক্ষেত্রে শুধু তারিখ এবং মাস ভুল হতে পারে কিংবা পুরো তারিখ ভুল হতে পারে।
আরও পড়ুন – ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয় কি
তাই, ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি তথ্য এবং ডকুমেন্ট লাগে তা ভুলের উপর নির্ভর করে থাকে। নিচে এসব তথ্যের একটি লিস্ট তৈরি করে দিয়েছি। চলুন, দেখে নেয়া যাক।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে যা যা লাগে
- জন্ম নিবন্ধন সনদের অনলাইন কপি
- জেএসসি/এসএসসি/এইচএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট
- ব্লাড টেস্ট এর রিপোর্ট
- পাসপোর্ট (যদি থাকে)
- ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে)
- পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড (ক্ষেত্রভেদে)
- ভাই-বোনের এনআইডি কার্ড (ক্ষেত্রভেদে)
- কাবিন নামা (বিশেষ ক্ষেত্রে)
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে উপরে উল্লিখিত প্রায় সব ডকুমেন্ট লাগে। তবে, আপনার এনআইডি কার্ডে কীরূপ ভুল হয়েছে তার উপর নির্ভর করে কী কী তথ্য লাগবে তা নির্ভর করবে। তবে, যেকোনো ডকুমেন্টই হোক না কেন, সেটির স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে তা নিচে আলাদা আলাদা করে উল্লেখ করে দিয়েছি। অর্থাৎ, নাম ভুল হলে কি কি লাগবে, জন্ম তারিখ ভুল হলে কি কি লাগবে, পিতা-মাতার নাম ভুল হলে কি কি লাগবে এসব তথ্য নিম্নরূপ।
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে জন্ম নিবন্ধন সনদের অনলাইন কপি(১৭ ডিজিট), যেকোনো বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট, পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড, পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে) । এসব ডকুমেন্ট থাকলেই ভোটার আইডি কার্ড থেকে আপনার নাম সংশোধন করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড বয়স সংশোধন করতে কি কি লাগে
ভোটার আইডি কার্ড বয়স সংশোধন করতে জন্ম সনদ ১৭ ডিজিট (অনলাইন কপি), জেএসসি/এসএসসি/এইচএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট, পিতা এবং মাতার এনআইডি কার্ড, পাসপোর্ট (যদি থাকে), ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে)। এসব ডকুমেন্ট দিয়ে আইডি কার্ডের বয়স সংশোধন করতে পারবেন।
আপনার ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ ভুল হলে ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী আপনার বয়স বেশি হতে পারে বা কম হতে পারে। তাই, জাতীয় পরিচয় পত্রের বয়স সংশোধন করার জন্য উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন – ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার উপায়
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে ১১৫ টাকা, ২৩০ টাকা এবং ৩৪৫ টাকা লাগে। ভোটার আইডি কার্ডের ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করতে ২৩০ টাকা, অন্যান্য তথ্য সংশোধন করতে ১১৫ টাকা এবং উভয় তথ্য সংশোধন করতে ৩৪৫ টাকা লেগে থাকে ভ্যাট সহ।
অর্থাৎ, ভোটার আইডি কার্ড থেকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করতে চাইলে মাত্র ২৩০ টাকা লাগবে ভ্যাট সহ। যদি অন্যান্য তথ্য সংশোধন করতে চান তবে ১১৫ টাকা লাগবে ভ্যাট সহ। তবে, যদি ব্যক্তিগত তথ্য এবং অন্যান্য তথ্য সংশোধন করতে হয়, তবে মোট ৩৪৫ টাকা লাগবে ভ্যাট সহ।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে তা আপনি কোন ধরনের তথ্য সংশোধন করতে চাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে থাকে। ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য এবং ব্যক্তিগত ও অন্যান্য তথ্য উভয় সংশোধন করা যায়।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে করতে ৭ দিন থেকে শুরু করে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সংশোধন এর ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে এই সময় ৭ দিন/১৫ দিন/৩০ দিন/৪৫ দিন পর্যন্ত লেগে থাকে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে “ক” ক্যাটাগরির জন্য ৭ দিন, “খ” ক্যাটাগরির জন্য ১৫ দিন, “গ” ক্যাটাগরির জন্য ৩০ দিন এবং “ঘ” ক্যাটাগরির জন্য ৪৫ দিন সময় লেগে থাকে। কী তথ্য সংশোধন করা হবে তার উপর ভিত্তি করে ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
শেষ কথা
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে তা জানতে পারবেন। এতে করে, আপনি যদি এনআইডি কার্ডের যেকোনো তথ্য সংশোধন করতে চান, তবে অনেক সহজেই সেটি করতে পারবেন।
FAQ
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করতে কি কি লাগে?
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করতে জন্ম সনদ, বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট সহ আরও কিছু আনুসাঙ্গিক ডকুমেন্ট লাগে।
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন কত দিন লাগে?
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করতে ৭ দিন থেকে ৪৫ দিন লেগে থাকে।
এনআইডি সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য –
আইডি কার্ড বের করতে চাইলে | আইডি কার্ড বের করার নিয়ম |
ভোটার আইডি ডাউনলোড করতে | ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড |
স্মার্ট কার্ড চেক করার উপায় | স্মার্ট কার্ড চেক |
ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে | ভোটার আইডি কার্ড চেক |
ফরম নাম্বার দিয়ে এনআইডি বের করুন | ফরম নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড |
ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেছে | ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয় |
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান | ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে |
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি | ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে |
নতুন ভোটার হতে চান | নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন |
হোমপেজ | NID Check |
ক্যাটাগরি | NID Card |